মাহফুজ আলমের কথায় ভারতের আঁতে ঘা

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

ঠিক করেছিলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত এবং অবিকৃত ইতিহাস লিখবো। কারণ, স্বাধীনতার পর ৫৪ বছর গত হয়েছে। কিন্তু এত সময়েও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস লেখা হয়নি। যেটুকু লেখা হয়েছে, সেটিও এক ব্যক্তি অর্থাৎ শেখ মুজিবকে Lionise করা বা মহাবীর হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। এর সাথে যুক্ত হয়েছিলেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। তিনিও বলেছেন, পঞ্চাশের দশকের আগ থেকেই তার পিতা বাংলাদেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে গেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব এক জনসভায় বলেন, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট যেদিন পাকিস্তান সৃষ্টি হলো সেদিন আমি বুঝলাম, বাঙ্গালীরা শেষ হয়ে গেল। এই কথা চরম মিথ্যাচার এবং জাতির সাথে ধোঁকাবাজি। তার লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকেই এই মিথ্যাচার প্রমাণ করা যাবে।

এ ধরনের একটি ইতিহাস এক দুই কলামে হবে না। এটি হতে হবে ধারাবাহিক। আমি সুস্থ থাকলে ইনশাআল্লাহ এই ধারাবাহিক রচনা শুরু করবো। তবে সিরিজটি বিরতিহীন হবে না। কারণ, মাঝেমাঝে এমন সব ঘটনা ঘটবে যেগুলো নিয়েও লিখতে হবে। যেমন আজকে লিখতে হচ্ছে বিজয় দিবসে দেওয়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে।

গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে ইন্টারিম সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ঐ পোস্টে একটি মানচিত্র দেওয়া হয়। মানচিত্রে রয়েছে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্য, যা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত। পোস্টের শিরোনাম, ‘বিজয় এসেছে, তবে সামগ্রিক নয়। মুক্তি এখনো বহুত দূরে!’ পোস্টে তিনি বলেন, ‘ভারত একটা ঘেরাও (Contain) ও গেটো (Ghettoize) কর্মসূচি নিয়েছে। ‘৪৭ এ হিন্দু মৌলবাদী ও কুলীনদের (অখন্ড) বাংলাবিরোধিতা থেকে এ পোকায় খাওয়া খন্ড বাংলা দেশের জন্ম। ঐ দেশকে রাষ্ট্র হিসাবে পত্তন করতে হয়েছে পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে একটি জনযুদ্ধের মাধ্যমে। আবার, এ রাষ্ট্রের জন্মদাগ তথা ভারত নির্ভরতা ও ভারতের আধিপত্য মুক্ত রাখতে ’৭৫ আর ’২৪ ঘটাতে হয়েছে। দুই ঘটনার ব্যবধান পঞ্চাশ বছর। কিন্তু, আদতে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমরা ভূগোল ও বন্দোবস্তে আটকা পড়ে গিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘৭১ এর পরে ’৭৫ আর ’২৪ এ দুইবার সুযোগ আসার পরেও আমরা ’৭২ এর মুজিববাদী বন্দোবস্তকে পুরাপুরি নস্যাৎ কতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করতেই পারি। বারবার প্রাণ দিতে পারি। কিন্তু, এ খন্ডিত (Truncated), ঘেরাওকৃত (Contained), গেটো ( Ghettoized) বাংলা দিয়ে আমরা সত্যিকার বিজয়, স্বাধীনতা কিংবা মুক্তি অর্জন করতে পারব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাণ আজ ’২৪ এ শহিদদের কোরাবানির ভেতর দিয়ে মুক্তি খুঁজছে। আর, ’২৪ কেবল শুরু, শেষবিন্দু নয়। এ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব জানেন তাদের লড়াই অসমাপ্ত। এ লড়াই শেষ করতে তারা এখনো জীবন দিতে প্রস্তুত। যাবেও হয়তো তাদের জীবন! তবু, আমাদের শাহাদাতের উপর দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় ও মুক্তি ত্বরান্বিত হোক!’

এই পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত সরকার। বাংলাদেশে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

মাহফুজ আলমের পোস্টে ভারত ক্ষেপে গেছে। কারণ, ঐ পোস্টে বাংলাদেশের মানচিত্রকে অসমাপ্ত বলা হয়েছে। এটা যদি কোনো দোষ হয়ে থাকে তাহলে মোদি সরকার কিছুদিন আগে তাদের লোকসভায় যে ‘অখ- ভারতে’র ম্যুরাল টাঙ্গিয়েছে তার বেলায়? সেই ‘অখ- ভারতে’র মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারের বেশ খানিকটা অংশ। যদি মাহফুজ আলমের বক্তব্য আপত্তিকর হয় তাহলে এই ম্যুরাল একটি ভয়াবহ অপরাধ। কারণ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান প্রভৃতি স্বাধীন সার্বভৌম দেশকে অখন্ড ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

যাই হোক, কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বাংলাদেশের পতাকায় অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে এবং আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের একাধিক কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। এর কয়েক দিন পর ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেদ করে একদল উগ্র ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে উড্ডীন বাংলাদেশি পতাকা টেনে নামায় এবং তাতে অগ্নি সংযোগ করে। এছাড়া ঐ উন্মত্ত উগ্র হিন্দুত্ববাদী জনতা হাইকমিশনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভাঙচুরও করে। এর ফলে বাংলাদেশ তার সহকারী হাইকমিশনারকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনেছে।

এসব ঘটনার একটি পটভূমি রয়েছে। বিজয় দিবসের রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি বাণী দেন। ঐ বাণীতে বলা হয় যে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় বাহিনী পাক বাহিনীকে পরাস্ত করেছে। মোদির ঐ বাণীতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, অসংখ্য বাংলাদেশি রমণীর সম্ভ্রম হরণ এবং অসংখ্য বাংলাদেশির শাহাদতের ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি। তারা এটিকে পাক-ভারতের তৃতীয় যুদ্ধ হিসেবে দেখিয়েছে।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম পোস্টটি ফেসবুকে আপলোড করার দুই ঘণ্টার মধ্যেই তা সরিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশের জনগণ ঐ ধরনের ফেসবুক পোস্ট দিলে হয়তো বিষয়টি ভিন্নরূপ হতো। তবে উপদেষ্টা যেহেতু সরকারে আছেন, তাই ফেসবুক পোস্টটি সরিয়ে তিনি প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কিছু কথা থেকে যায়।

পশ্চিমবঙ্গ বা সেভেন সিস্টার্সের কথা আন্দাজে আসেনি। বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটেছে। বিপ্লবী জনতা শেখ হাসিনাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। ছালার আম আবার ছালার মধ্যেই ঢুকে গেছে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয় থেকে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ফিরে আসার সময় তিনি বিবিসি বাংলার তদানিন্তন প্রধান সিরাজুর রহমানের কাছে বলেছিলেন যে, পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশে যাচ্ছেন। তিনি পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন। শেখ মুজিবের পতনে যারা ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের সকলকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি যেখান থেকে এসেছিলেন ৫ আগস্ট সেই ভারতেই ফিরে গেছেন।

বাংলাদেশে বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করাটা ছিল বাংলাদেশের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু তাজ্জবের বিষয় হলো, হাসিনার এমন পতনকে ভারত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তাই সে হাসিনাকে শুধুমাত্র আশ্রয়ই দেয়নি, বরং তারপর থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক কিন্তু ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এবং এমন সব ডাঁহামিথ্যা ও গাঁজাখোরী অপপ্রচার করে যেগুলো একটি শত্রু রাষ্ট্রই করতে পারে। চিন্ময় দাস বাংলাদেশের একজন নাগরিক। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে দোষী কি নির্দোষ, সেটি আদালতে বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। সেই চিন্ময় দাসকে নিয়ে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তুলকালাম কা- শুরু করেছে।

॥দুই॥
হাসিনার পতনের পর ভারত মনে করেছে যে, বাংলাদেশ তার হাতছাড়া হয়ে গেছে। আর এমন মনে করবে নাই বা কেন, হাসিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন তো বলেই ছিলেন যে, বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো। আসলে হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের ঠিক অঙ্গরাজ্য না বানিয়ে তাবেদার রাষ্ট্র বা করদ রাজ্য বানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সকলেই তো আর হাসিনা নন। হাসিনার পতনের পর যারা এসেছেন তারা ভারতের চোখ চোখ রেখে কথা বলছেন। এটা আর ভারত বরদাস্ত করতে পারছে না। তো সে কী করবে? কিই বা করার আছে তার? তাই সেই পুরানা তাস খেলা শুরু করেছে। আর পুরানা তাস হলো মাইনরিটি কার্ড। ভারতের এই মতলবি মাইনরিটি কার্ড খেলার সাগরেদ হয়েছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক, চাইল্ড অ্যাবিউজের দায়ে বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় দাস। ঐদিকে ভারত আর এইদিকে চিন্ময়ের চ্যালা-চামুন্ডারা মিলে এমন সব উত্তেজনাকর গুজব ছড়াতে শুরু করে যে, বহির্বিশ^ মনে করতে পারে যে, বাংলাদেশে বুঝি হিন্দু জেনোসাইড হচ্ছে। রিউমার স্ক্যানারের ফ্যাক্ট চেকে দেখা গেছে যে, ভারত এবং চিন্ময় দাসের চ্যাল্যাদের এসব প্রোপাগান্ডা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা বলেছিল, বুয়েটের ছাত্ররা নাকি ভারতের পতাকা মাড়িয়েছে। ফ্যাক্টচেকে এটি ধরা পড়েছে যে, এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) দিয়ে ভারতীয় পতাকা বানিয়ে ছাত্রদের দিয়ে মাড়ানো হয়েছে। সত্যের সাথে এর লেশ মাত্র সম্পর্ক নাই। ভারতীয় প্রোপাগান্ডা চলতে চলতে এমন বলগাহীন হয়ে ওঠে যে সে আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করতে শুরু করে।

॥তিন॥
কয়েক দিন তারা অত্যন্ত উঁচু গলায় বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে বলা শুরু করে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাকি ব্রিটিশরা অন্যায়ভাবে পাকিস্তানকে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী প্রদেশব্যাপী শ্লোগান তোলেন, ‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও’। বিজেপিপন্থী গণমাধ্যম বিশেষ করে টেলিভিশন এবং কোনো কোনো প্রিন্ট মাধ্যমে বাংলাদেশকে হুমকি দেওয়া হয় যে, বাংলাদেশ যদি তাদের ভাষায় হিন্দু নির্যাতন না থামায় তাহলে তারা নাকি সামরিক অভিযান করে বাংলাদেশের চিকেন নেক কেটে দেবে। বাংলাদেশের চিকেন নেক বলতে তারা বুঝিয়েছে ফেনী অঞ্চল। তাও সমগ্র ফেনী নয়। ফেনীর চিকেন নেকের ব্রিজটি বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, তাদের একাধিক ইলেকট্রনিক মিডিয়া ভারত এবং বাংলাদেশের সামরিক শক্তির তুলনা করে দেখিয়েছে যে, বাংলাদেশ সামরিক দিক দিয়ে কত দুর্বল। তারা তো এতদূরও বলেছে যে, মাত্র ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যেই তারা বাংলাদেশ দখল করতে পারে।

॥চার॥
হাসিনার পতন বা চিন্ময় দাসের গ্রেফতারের সাথে বাংলাদেশের কোনো কোনো অংশ সামরিক শক্তির জোরে কেটে দেওয়ার প্রশ্ন আসে কেন? তাহলে ভারত আসলে কী চাচ্ছে? তার মনে কি তাহলে অখ- ভারতের অঙ্কুরিত বীজ বেড়ে উঠছে? সে যখন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাকিস্তানভুক্তি নিয়ে (বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত) প্রশ্ন তুলছে তখন বাংলাদেশের মানুষকেও বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হবে ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের গোড়ায়। দেখা যাবে, কীভাবে মাউন্টব্যাটেনের সাথে যোগসাজস করে কংগ্রেস নেতা নেহরু ও প্যাটেল বাংলা ভাগ করার সময় মুসলিম লীগকে পোকায় খাওয়া পাকিস্তান দিয়েছেন। কীভাবে স্যার সিরিল র‌্যাডক্লিফ দুই বাংলার মধ্যে সীমারেখা টানার বেলায় পশ্চিমবঙ্গকে ফেভার করেছেন।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ভারত বিভক্তি মানেই ছিল পাঞ্জাব ও বাংলার বিভক্তি। এই বিভক্তির ভিত্তি ছিল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা সংখ্যালঘিষ্ঠতা। অর্থাৎ যেসব জেলায় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তারা পশ্চিম বাংলায় যাবে আর যেসব জেলায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে সেসব জেলা পূর্ব বাংলায় আসবে।

অবিভক্ত বাংলায় ছিল ২৯টি জেলা। এরমধ্যে ১৮টি জেলায় ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা। কিন্তু নেহরু এবং মাউন্টব্যাটেনের যোগসাজশে ৪টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাকে পশ্চিম বাংলার ভাগে দেওয়া হয়। এই ৪টি জেলা হলো মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দিনাজপুর এবং নদিয়া। ভারত বিভক্তির সময় দিনাজপুর এবং নদিয়াকে ভাগ করা হয়। মালদহ এবং মুর্শিদাবাদকে পশ্চিমবঙ্গের ভাগে দেওয়া হয়। গণভোটের মাধ্যমে আসামের সিলেট পাকিস্তানের ভাগে আসে। কিন্তু কোনো গণভোট ছাড়াই আসামের করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি আসামে অর্থাৎ ভারতের ভাগে যায়।

আজ ওরা যখন পার্বত্য চট্টগ্রাম গায়ের জোরে দখল করার কথা বলে তখন স্বাভাবিকভাবেই আমরা দাবি করতে পারি যে উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি আমাদেরকে দিতে হবে। এছাড়া বিহারের পূর্ণিয়ার কথা আজ বললাম না। সুতরাং মাহফুজ আলম যখন বাংলাদেশের সীমানা বৃদ্ধির কথা বলেন তখন কেন বলেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। এতেই ভারতের আঁতে ঘা পড়েছে।

Email: [email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বই আত্মার মহৌষধ
তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে
সারবাহী জাহাজে ৭ খুন : দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে
গণতন্ত্র ও সাম্যের পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ রুখে দেয়া আর সম্ভব নয়
রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামের অনুপম শিক্ষা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে
আরও

আরও পড়ুন

বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার

বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার

ক্যাডার বর্হিভূত রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান শিক্ষা ক্যাডারের

ক্যাডার বর্হিভূত রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান শিক্ষা ক্যাডারের

শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা

শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের নামে মামলা

অভিযানের খবরে পালাল শ্রাবণধারা কারখানার পরিচালক-ম্যানেজার

অভিযানের খবরে পালাল শ্রাবণধারা কারখানার পরিচালক-ম্যানেজার

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নেই আশানুরূপ সাড়া

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নেই আশানুরূপ সাড়া

একতাই পারবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে

একতাই পারবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে

তিতাস গ্যাস টি.এন্ড ডি. পিএলসি’র ৫% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত

তিতাস গ্যাস টি.এন্ড ডি. পিএলসি’র ৫% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা সাজিদুর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা সাজিদুর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ

‘আপনারা আমার খালেদকে ফেরত এনে দেন’ : নিখোঁজ সহ-সমন্বয়কের বাবা লুৎফর

‘আপনারা আমার খালেদকে ফেরত এনে দেন’ : নিখোঁজ সহ-সমন্বয়কের বাবা লুৎফর

২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের অধিবেশন প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ

২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের অধিবেশন প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ইনসেপ্টার বিক্রয় প্রতিনিধির ২২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ইনসেপ্টার বিক্রয় প্রতিনিধির ২২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

পিকে হালদারের পাঁচ সহযোগীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ

পিকে হালদারের পাঁচ সহযোগীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ

ভূমধ্যসাগরে ৮ বাংলাদেশি নিহত

ভূমধ্যসাগরে ৮ বাংলাদেশি নিহত

মুক্তি পেলেন ভারতের সমুদ্রসীমায় গ্রেফতার ১২ বাংলাদেশি

মুক্তি পেলেন ভারতের সমুদ্রসীমায় গ্রেফতার ১২ বাংলাদেশি

আ.লীগকে পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়বে গণঅধিকার পরিষদ

আ.লীগকে পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়বে গণঅধিকার পরিষদ

অন্তর্বর্তী এ সরকারের মধ্যে দুটি সরকার রয়েছে : মাহমুদুর রহমান মান্না

অন্তর্বর্তী এ সরকারের মধ্যে দুটি সরকার রয়েছে : মাহমুদুর রহমান মান্না

হাসিনার নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনঃতদন্ত শুরু

হাসিনার নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনঃতদন্ত শুরু

১১ ইউনিটে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

১১ ইউনিটে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

বাংলাদেশসহ ২০টিরও বেশি দেশ ব্রিকসে আগ্রহী : পুতিনের সহকারী

বাংলাদেশসহ ২০টিরও বেশি দেশ ব্রিকসে আগ্রহী : পুতিনের সহকারী